Skip to main content

Fill 2D Space with Hilbert Curve

সমুদ্র দর্শন

১৯৯৫ সালের কথা,এক নতুন দম্পতির কোলে তাদের প্রথম সন্তান । যায়গাটা চট্টগ্রাম,দম্পতি আমার বাবা-মা :P ।

হ্যা আমার কথাই বলতেসি।জন্ম চট্টগ্রাম হলে কি হবে সমুদ্র দর্শন যা হয়েছে তা জন্মের প্রথম ২ বছর অবধি। কাজেই মনে থাক কোন প্রশ্নই আসে না :P । প্রথম সমুদ্র দর্শন ২০১৪,পতেঙ্গা । খুব বেশি অনুভব করা হয়ে উঠেনি । গিয়েছিলাম প্রতিযোগিতা করতে, সময় বের করাই ঝামেলা । যাহোক বাইরের গল্প অনেক হলো,এবার যায়গায় আসি।

কক্সবাজার যাবার পরিকল্পনা যখন ডিপার্টেমেন্ট এর পোলাপাইন করতেসে টার্ম ফাইনালের পরীক্ষা তখনো একটা বাকি । তাতে কি!? একটাই তো । তাও আবার বাকি ব্যাচমেটদের এখনো দুইটা বাকি । তাই যেতে যে হবেই :p । পরিকল্পনা শেষ,তারিখ চুড়ান্ত, ১৬ তারিখ শেষ পরীক্ষা দিয়ে ১৭ তারিখ রাত ১০ টার বাসে সরাসরি কক্সবাজার । অনেকের কাছেই পুরানো যায়গা,সবাই যায় টাইপের যায়গা... । আমার কাছে ব্যাপারটা রোমাঞ্চকর । সমুদ্র-শহরের বাতাস বুকে নিয়ে জন্মানো ছেলে কখনো সমুদ্র অনুভব করেনি!! রোমাঞ্চকর হবে না!?

রোমাঞ্চের শুরুটা বাসে উঠার আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে তা অবস্য ভাবতে পারিনি । আমি যখন আরামবাগে শ্যামলী কাউন্টারে পৌছাই আমার সফর সঙ্গীরা সবে হল থেকে একসাথে বের হয়েছে । কিন্ত বাস ছাড়ার আগে ঘটনা উলটে গেল । সবার আগে আসা পাবিলিক করে ফেলল লেট !! কোকের বোতলটা ফেলে ব্যাগ নিয়ে বের হতেই দেখি লোকজন নাই!! কক্সবাজারের একটা বাস দাঁড়ায়ে আছে,তবে ওটায় ওরা নাই!! ফোন দেই ফাজিল ফোন ধরেও না!! যাহোক পরে ফোনে পাইলাম,বাস ইতোমধ্যে মোড় ঘুরে চলে যাচ্ছে । তাদের আমার জন্য থামতে হল!! শেষে দৌড়ে বাসে উঠা আর কি ।



রাতের বাস,তাই চিল যা হবার তা হল গল্প করে । আমি আবার একটু চুপচাপ কিনা..তাই কথার জবাব দিয়েই গল্প পার করে দিলাম । আর চুপচাপ মানুষের ভ্রমণ সঙ্গী হেডফোন আছে না ;) ।

যাহোক রাতের বাসের সমস্যাই একটা রাস্তা দেখে যাওয়া যায় না । তাও বাস আর জেগে থাকা শহরের আলোয় যতটুকু দেখা যায় তা দেখতেসি । একসময় নতুন কোন যায়গায় গেলে পথে কি কি যায়গা পড়ে লিখে রাখতাম । ২০০৮ এ যখন ঢাকার জীবন ছেড়ে যশোর যাত্রা করলাম সেবার মনে আছে মানিব্যাগে একটা কাগজ কলম নিয়েছিলাম । প্রতি স্টেশন থামার পর আমি যায়গটার নাম লিখতাম । দেখতে না পেলে আব্বু আমার জন্য দেখে আসত । যাহোক সে অনেক আগের কথা । এখন অনেক কিছু বদলেছে,যদিও ভেতরের মানুষটা এখনো আগের মতই আছে । তবে এবার পরিকল্পনা অন্য ,যে নাম গুলা একটু মজার টাইপের সেগুলা লিখব । অনেক আছে এমন,তার মাঝে আমি অনেক গুলা দেখতে পাই নাই,যেগুলা দেখতে পাইছি তাও সব লেখা সম্ভব না । তবে কয়েকটা দেয়া যাইতেইপারে :P ।

ভবের চর, মুরাদ নগর, কুটুম্বপুর, চুলাস বাজার, রাজামেহার বাজার, ধামতি, কুরছাপ, হাড়খোলা বাজার, বরকামতা, কোরপাই বাজার, কংশ নগর, বুড়িচং, টমছম ব্রিজ, চৌয়ারা, আমানগন্ডা বাজার, চিউড়া বাজার, গাংড়া বাজার, ডুলাহাজারা, খুটাখালি...

আর হ্যা,খুব অল্প সময় ধরে Street Sign দেখে লেখা,ভুল হতেই পারে ।

প্রায় সারা রাত সজাগ ছিলাম, ভোরের আগে ২-১ ঘন্টার ঘুম ভাঙ্গল ভোরের আলোয় । চট্টগ্রাম শহরে যখন ঢুকলাম সবে ভোরের আলো ফুটল । এবার পথের মজা নেবার সময় । শহরের রোলার-কোস্টার রাস্তা পেরিয়ে যখন কক্সবাজার এর সুন্দর রাস্তায় উঠলাম তখন সকালের আলোয় পথ দেখছি...। হঠাৎ একটা স্তম্ভ কক্সবাজার জেলায় স্বাগত জানাল । অপেক্ষা তখন গন্তব্যের। বেশ খানিক পর আকাঙ্ক্ষিত গন্তব্য,কলাতলী । উচু রাস্তা থেকে নিচের দিকে নামতেই সাগর দৃষ্টিগোচর হল । সে এক ক্ষণস্থায়ী কিন্তু প্রীতিকর অভিজ্ঞতা ।

অফ সিজন বলে আগে বুকিং দেয়া হয়নি । বাস থেকে নেমে তাই টমটম (ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা) এ করে থাকার যায়গার সন্ধানে যাত্রা । প্রথম দেখাতেই একটাতে আস্তানা গেড়ে বলসাম । Laguna Beach Family Suites , দুইটা রুমে , দুইটা রুমে “আমরা ১১ জন” ।

সকাল সাড়ে ১০ টা,ঢাকা কক্সবাজার যাত্রার ধকল যাই হোক না কেন সমুদ্রের ডাকে তাড়াতাড়ি নাশতা শেষ করে সমুদ্র শৈকত যাত্রা । সেখানে ঘটল এক বিপত্তি !! আমাদের দুইটা টমটমের একটা আগে গেল,পরেরটায় আমরা ৬ জন । আমাদের নামিয়ে দিল সুগন্ধা শৈকতে । ওখানে গিয়ে বাকি ৫ জনের আর কোন খোজ নাই!! পরে ফোন দিয়ে জানা গেল তারা গেছে কলাতলী শৈকতে । কি আর করার,সাগরের পানিতে পা ভিজিয়ে ভিজিয়ে তা প্রায় দেড়-দুই কিলো হেটে কলাতলী বিচে যাত্রা ।

দুই দলের সাক্ষাত হবার পর প্রথম কাজ ফুটবল খেলা। সমুদ্রের তীরে দুই দলে ভাগ হয়ে ফুটবল । কিছুক্ষণ খেলার পর বোঝা গেল সমুদ্রের বাতাস যতটা ক্লান্তি নিবারক তার আদ্রতা ততটাই ক্লান্তি সহায়ক । খেলা থামিয়ে সাগরে গা ভিজাবার পালা । সবার উল্লাস,আমার ছবি তোলা । মাঝে ঢেওয়ের ঝাপ্টায় ক্যামেরা ব্যাগ ভেজার পর মনে হল আমার ফোন আমার থ্রী-কোয়ার্টার এর নিচের পকেটে!! ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা ঢেও এর চুবানি খেয়েছে । আল্লাহ আল্লাহ করে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি সে বেচে আছে...। ফোন আর ক্যামারা ব্যাগ Rouf কে দিয়ে ক্যামারাকে স্রোত থেকে বাচিয়ে ছবি তুলে যাচ্ছি । বেশ খানিক্ষন বাদে মনে পড়ল আমার মানি ব্যাগ এখনো পকেটে -_- এবার আর কি পানি থেকে উঠে এসে দেখি মানি ব্যাগ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে :P । উপরে যেতেই দেখি Kowshid ছাতার নিচে হেলানো চেয়ারে বসে বাতসের মজা নিচ্ছে । আমার ফুলে-ফেঁপে উঠা মানিব্যগের ভেতরের টাকা শুকাতে দিতে না দিতেইই বাকিরাও এসে বসল । ডাবের পানি আর সাগরের বাতাসে ক্লান্তি দূর করে এবার ভাবলাম একটু একা শৈকতের মজা নেয়া যাক। ক্যামারা নিয়ে বেড়িয়ে গেলাম...।

হাঁটতে হাঁটতে পাশের জেলে পাড়ার দিকে এগুচ্ছি। Low angle এ কিছু ছবি তুলতেই দেখি এক পিচ্চি দেখতেছে,কিছু বলতেছে না। যাহোক পিচ্চিকে ডাক দিলাম । আলাপ জমাতে সময় লাগল না । জেলে নৌকার দিকে ইশারা করে আমাকে বলল “ভাই,ওটার ছবি তুলেন” । আমার সাথে কথা বলতে দেখে তার সাঙ্গো-পাঙ্গো এসে আমাকে ঘিরে ধরল । সবার সাথে কথা হল,নাম জানা হল । প্রথম দেখা হওয়া ছেলেটার নাম মোঃ ইয়াকুব আলি । বাকিদের নাম মনে নাই । আসলে ইয়াকুবই একমাত্র আমার সাথে আমার বাংলায় কথা বলতেসিল,বাকিদের কথা আমি কিছু বুঝি নাই :P । তার সাথে কথা বলার সার সংক্ষেপ : সে জেলে পাড়ায় থাকে,তার বাবা সমুদ্রে মাছ ধরে,সেও একবার সমুদ্রে গিয়েছিল,সে একবার মাত্র ঢাকা গিয়েছিল,তার ট্যুরিস্টদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে...। তাদের কাছে ভালো মাছের পরামর্শ চাইলে তারা অনেক কিছু বলল,আমি শুধু লইট্যা আর রূপচাঁদা ছাড়া কোন কিছু বুঝলাম না :P । তাদের একটা ছবি তুলতে চাইলে তারা রাজি । একটা গ্রুপ ছবি তুলে শেষ করতেই একজন লাফ দিল,যেটা আমি ধরতে পারসিলাম । পরে আমার কথায় একসাথে লাফিয়ে ছবি তোলার ছবি তুলতে তারা রাজি । একবার লাফ দিয়ে মাটিতে পড়তেই সবাই দৌড়ে আমার কাছে আসতেছে ছবি দেখবে বলে । তাদের এই উৎসাহের জন্য নিখুঁত ছবি পাইনি,তবে সময়টা ভালই কাটসে...। আমি ওদেরকে আমার একটা ছবি তুলে দিতে বললাম । আমি বোঝাব কি তারা বলতেসে “ভাই এমনিতেই পারব । এটা চাপ দিলেই হয় না..”। ফলাফল না জিজ্ঞেস করাই ভাল :P । যাহোক বাকিদের ফোন পেয়ে আমাকে ফিরতে হল ।

বাচ্চা-কাচ্চার দল


দুপুর ৩ টা, রুমে ফিরে কাপড় বদলে দরিয়া নগর শৈকতের দিকে যাত্রা,উদেশ্য Parasailing । যদিও গিয়ে হতাস হতে হল । কারণ অতিরিক্ত বাতাসের জন্য Parasailing করা সম্ভব না । যাহোক শৈকত উপভোগ করা হইল । মানুষজন নাই, শুধু আমরা কয়েকজন । ফেরার সময় দুপুরে খাবারের চিন্তা হল । ঠিক হল মাছ খাব । চলে গেলাম EFC Live Fish Restaurent এ । মাছের দাম কিছুটা বেশি দেখে বাকিরা চলে গেলেও আমি,আদিত্য,উচ্ছ্বাস চিন্তা করলাম আসছি যখন খেয়েই যাব । টুনা মাছের গ্রিল আর তেলাপিয়ার দোপেয়াজা সাথে ভাত অর্ডার করলাম । রূপচাঁদাটা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছিল...। যাহোক খাবার নিয়ে কোন অভিযোগ নাই । 


টুনা মাছের গ্রিল

তেলাপিয়া মাছের দোপেয়াজা



পেটপূজা করে রুমে ফিরতে ফিরতে বিকাল সাড়ে ৫ টা । আমার বাকিদের চার্জ এর সাথে সাথে আমার ক্যামারার ব্যাটারিরও চার্জ কমে গেছে । চার্জে বসিয়ে আধঘন্টা পর সূর্যাস্ত দেখতে কলাতলী শৈকতে দৌড় । মেঘ সূর্যাস্ত সম্পুর্ণ দেখতে দেয়নি ঠিক কিন্তু আলোর যে খেল দেখাল তা আসলেই দর্শনীয়,সাথে আবার সমুদ্র। কলাতলী শৈকত থেকে হেঁটে রুমে ফিরতে রাত ৯ টা। যেয়ে দেখি অর্ধেক লোক ঘুম । ১০ টার দিকে খেতে গেলাম । এবার খাবার তালিকায় লইট্যা ভুনা। অবস্য বাকি আর যারা অন্য লইট্যা ফ্রাই,মেজবানী মাংশ সহ আরো যা যা নিয়েছিল একটু একটু করে স্বাদ নেয়া হয়েছে । খাবার পর রুমে ফিরে অনেক পক্ষ-বিপক্ষের পর চট্টগ্রামে থামার চিন্তা বাতিল হওয়ায় পরেরদিনের ঢাকা যাবার টিকেট কাটার জন্য বের হওয়া হল। পরে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে সমুদ্রের বাতাস উপভোগ আর তারা দেখা..। ঢাকার আলো দূষণে Milky Way দেখার সৌভাগ্য হয়নি । এবার সখ পুর্ণ হইল। আর সাথে জড়ো হল আক্ষেপ । ট্রাইপড না কেনার আক্ষেপ । তাও কিছু long exposure ছবি তুলেছি। আরো ভাল হত ট্রাইপড থাকলে। যাহোক রাত দুইটার দিকে রুমে ফিরে পরের দিনের প্রস্তুতি, “ঘুম”। 

Tripod ছাড়া Milky Way তোলার চেষ্টা

সকাল সোয়া সাতটা,তাড়াহুড়া করে ঘুম থেকে উঠে হোটেলের পাশেই Mezban এ সকালের নাশতা । ও হ্যা তাদের নিয়ে বলতেই হয় । এই পুরো ট্যুরে শুধু প্রথমদিন দুপুর বাদে বাকি সব বেলার খাবার তাদের ওখানে খাওয়া । শুধু হোটেলের পাশে বলে না,তাদের রান্না,পরিবেশ,ব্যবহার সব অসাধারণ। তাই আর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি । যাহোক খাওয়া শেষ করে রিজার্ভ করা চান্দের গাড়ি ( ছাদ ছোলা মোটর জিপ টাইপের) তে করে যাত্রা। এবার গন্তব্য অনেক ।

“কিছু পথ গন্তব্যর থেকেও উপভোগ্য” কথাটা Cox's Bazar–Tekhnaf Marine Drive সম্পর্কে চোখ বন্ধকরে সত্য বলা যায়। এ বছর ৬ মে তে উদ্বোধন করা ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক বঙ্গোপসাগর এর পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত যা বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক। একপাশে নীল আকাশে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্র আর আরেক পাশে সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মাঝ দিয়ে চান্দের গাড়ির খোলা ছাদে মাথা বের করে গন্তব্যে যাত্রা আর গান এর থেকে অসাধারণ আর কি হতে পারে?


চান্দের গাড়ির খোলা ছাদ

প্রথম গন্তব্য হিমছড়ি পৌছালাম ৯ টার দিকে। প্রথমে পাহাড়ে উঠা। উপরে উঠে চারদিকে তাকিয়ে মুগ্ধ । উপর থেকে দুনিয়াটা আসলেই অন্য রকম লাগে।সাগরের পানিতে আকাশের মেঘের কালো ছায়া,দূরে হারিয়ে যাওয়া মেরিন ড্রাইভ আর সমুদ্র..।দৃশ্য দেখা আর ছবি তোলা পর্ব শেষ করে হিমছড়ি ঝর্ণার শীতল পানিতে পা,মাথা ভিজিয়ে চান্দের গড়িতে ফিরে পরের গন্তব্যের অপেক্ষা।

সকাল ১১ টা,ইনানী বীচে সদ্য পৌছালাম। বীচে ঢুকতেই বীচ বাইক এর লোকজনের ডাকাডাকি । একটায় চড়ে বসলাম আমি আর Rouf। পুরা বীচ চক্কর দিয়ে ছাতার কাছে ফিরে প্যান্ট বদলাতে গিয়ে দেখি কোন এক ফাজিল আমার প্যান্টটা ব্যাগ থেকে বের করে অন্য ব্যাগে রাখসে যেটা আবার


ইনানী বীচে আদিত আর সৌরভ


চান্দের গাড়িতে ছেড়ে আসা হইসে। আর কি আরেকজনের প্যান্ট পরে নেমে পড়লাম। ইনানী বীচ প্রবালের জন্য বিখ্যাত। কোন এক প্রবালের উপর বসে সমুদ্রের ঢেওএর ঝাপ্টা খাওয়াটা আলাদা আনন্দের।আর সাথে গলা ছেড়ে গান।আর হ্যা ইনানীতে গিয়ে আমার ১১ ব্যাচের জুবায়ের ভাই এর সাথে দেখা।ভাইও আসছেন বেড়াতে।

ইনানীর পালা চুকিয়ে ফিরতে ফিরতে দুপুরের খাবারের সময়।গতবার Live Fish এ রূপচাঁদা মিস হইলেও এবার দুপুরের খাবারে প্রায় সবাই রূপচাঁদার দোপেয়াজা নিলাম।


রূপচাঁদার দোপেয়াজা



ও হ্যা ইনানীর ভেজা কাপড় তখনো গায়ে।খাওয়া শেষ করে Swimming pool এ গিয়ে ফ্রেশ হওয়া। তারপর রুমে ফিরে ছোট্ট একটা ঘুম।

ঘুম থেকে উঠতে ৬ টা। এবার দৌড় সুগন্ধা পয়েন্টে সূর্যাস্ত দেখতে।এবারো মেঘ ছিল।তাই আলোর খেলা দেখা আর পুরা শৈকত হেটে সুন্দর মূহুর্ত ফ্রেম বন্দী করা হল।সূর্যাস্তের পর আর কি, ছাতার নিচে শুয়ে গান শোনা।আর হ্যা এক পিচ্চি মেয়ের গলায় কিছু অসাধারণ গানশোনাও হয়েছে উচ্ছ্বাসের পিচ্চিকে ডাকার কল্যানে।

সমুদ্রের বাতাসে সময় জ্ঞান হারায়ে যখন দেখি সাড়ে আটটা বাজে তখন মনে হল আমাদের ঢাকার বাস ১০ টায়!! এবার আর কি দে ছুট।শৈকতে তাড়াহুড়ায় কেনাকাটা সেরে হোটেলের নিচেই Mezban এ পৌছতে রাত ৯ টা। রাতের খাবারে কি খাব নিয়ে আমার কোন দ্বিধা ছিল না,এককথায় Lobster. কারণ ওদের ম্যেনুতে এই একটাই আমরা কেও খাইনি।

খাওয়া শেষ করতে পৌনে দশটা!!আমাদের বেশির ভাগেরই ব্যাগ গুছানো এখনো বাকি। আমি কোন রকমে ব্যাগে সব কিছু পুরে বাকি যা ছিল হাতে নিয়ে বাসের জন্য দৌড়!! এবারও শেষ মূহুর্তে আগমণ।বাকি গল্পটা চিরচেনা।বাসে করে আবার জাদুর শহরে প্রত্যাবর্তন।

এই ট্যুর কেমন গেল লিখে বোঝানো সম্ভব না। আমি আমার দিকটার বর্ণণা দিয়েছি।বাকিদের অভিজ্ঞতা হয়ত অন্য রকম।তবে যেমনই হোক দিনশেষে এটা আসলে আমাদের ট্যুর।সবাই একসাথে না হলে এভাবে হতো না।তাই একসাথে একটা উল্লাস হয়ে যাক ;)





Comments

Popular posts from this blog

Fill 2D Space with Hilbert Curve

I was introduced to the amazing world of fractals by a coding channel named The Coding Train . I was fascinated by the elegance of the process. It was an amazing mix of math, computer science, coding, and nature, all of which I admire a lot! This project is about such a fractal pattern named Hilbert Curve . I got to know about Hilbert Curve from my university's computer graphics course. As soon as I got introduced to the topic I searched the web for coding it. I coded Hilbert curve with OpenGL in C++ , but it felt clumsy to set it all up. Then I remember The Coding Train and his work on p5js and processing . These libraries were primarily developed for easy use for creative coding. I played around with the libraries but never dedicated to do something serious with it; until now! About the Project Hilbert Curve is a space-filling curve. That means this 1-D line can fill a 2-D space! This fact on its own is amazing! The time I

Light OJ 1278 - Sum of Consecutive Integers

Description Given a positive integer \(n\), you have to find the number of ways you can express \(n\) as sum of consecutive integers. You have to use at least two integers. For example, \(n = 15\) has three solutions, \( (1+2+3+4+5), (4+5+6), (7+8)\). একটা ধনাত্মক সংখ্যা \(n\) দেয়া আছে, তোমাকে বের করতে হবে \(n\) কে কত উপায়ে একাধিক ক্রমিক সংখ্যার যোগফল আকারে লেখা যায়। যেমন, \(n = 15\) কে তিন উপায়ে লেখা যায়, \( (1+2+3+4+5), (4+5+6), (7+8)\). Problem Link আমার সমাধান ধরে নেই \(a,b\in \mathbb{N},a \neq b\) \[ \begin{eqnarray*} &&a + (a+1) + (a+2) + \cdots + b = n\\ &\Rightarrow& \sum_{k = a}^{b} k = n\\ &\Rightarrow& \sum_{k = 1}^{b} k - \sum_{k = 1}^{a-1} k = n\\ &\Rightarrow& \frac{b(b+1)}{2} - \frac{(a-1)(a-1+1)}{2} = n\\ &\Rightarrow& b^2 + b - (a^2-a) = 2n\\ &\Rightarrow& b

সীতাকুণ্ড দর্শন

রবিবার ২৮ শ্রাবণ,১৪২৫ ১২ আগস্ট,২০১৮ ঘুম থেকে ধরফর করে উঠেই ভাবলাম ঘুমায়ে পড়লে হবে না! নাহলে ত ট্রেনের করিডোরে মানুষের গায়ে পড়ে যাব! ভাবা যায় আমি কারো গায়ে পড়লে কি হবে! হুঁশ ফেরার পর চারিদিক দেখে ঘোর কাটল। না,আমি আর সেই ট্রেনে সিট আর উপরে হাতল ধরে দাঁড়িয়ে নাই! আমার নিজের বিছানায়, নিজের বালিশে, নিজের চাদরে গা জড়িয়ে উঠে বসে আছি! যে ট্রেনের কথা বলতেসি সে শুধু এক দুঃস্বপ্ন নয়,সদ্য ফেলে আসা অতীতের স্মৃতি, গতকাল রাতের স্মৃতি ! গতকাল সারাদিন হাঁটাহাঁটি,পরিশ্রমের পর কোথায় ট্রেনের কেবিনে আরাম করে ঢাকা ফিরবো তা না, আমাদের ঢাকায় ফেরার দিনটা এমন দিনেই পড়ল যখন সবাই শুক্র,শনি ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরছে! আর কি? যা হবার তাই হলো! কেবিন তো দূরে থাক সিটই পাইনি! চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা স্রেফ দাঁড়িয়ে ! বাসায় যখন ঢুকি ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৭ টায়! ঢুকতেই অনুভূতি হারানো কাঁপা কাঁপা পা নিয়ে বিছানার কাছে গিয়েই ঘুম! ধড়ফড় করে ওঠাটা দুপুর আড়াইটায়। ট্রেন ভ্রমণটা আমারদায়ক না হলেও সুখকর ছিল! সুখের কারণ বলতেই এই লেখা! বুধবার ২৪ শ্রাবণ,১৪২৫ ৮ আগস্ট ২০১৮ ঢাকায় আছি তা প্রায় তিন বছর। ২০০৮ সালের আগেও ছিলাম